Sep 03, 2024 by Saharuk khan
High Court police বিচারপতি মন্তব্য করেন যে, গ্রেফতার হওয়া ছাত্রদের বিরুদ্ধে পুলিশ খুনের চেষ্টার মতো গুরুতর ধারা প্রয়োগ করেছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কোন অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে? আর এমন গুরুতর অভিযোগ আনার পর অভিযুক্তদের থানা থেকে জামিন দেওয়ার অধিকার পুলিশ কীভাবে পেল? বিচারপতির প্রশ্নে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিয়ে নতুন করে বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে।
High Court বিচারপতি কড়া ভাষায় মন্তব্য –
বিচারপতি কড়া ভাষায় মন্তব্য করেন, “এভাবে চলতে থাকলে তো পুলিশ যখন খুশি, যাকে খুশি গ্রেফতার করতে পারবে!” তিনি আরও বলেন, গ্রেফতার হওয়া ছাত্রদের বিরুদ্ধে পুলিশ খুনের চেষ্টার মতো গুরুতর ধারা প্রয়োগ করেছে। কিন্তু কার অভিযোগের ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? এবং এমন গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্তদের থানা থেকে জামিন দেওয়ার ক্ষমতা পুলিশের হাতে কীভাবে এলো? এই ঘটনায় বিচারপতি আইনের অপব্যবহার নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
High Court police এভাবে চললে তো ছাত্র ,ছাত্রী দের পুলিশ যখন খুশি, যাকে খুশি গ্রেফতার করবে বলে জানা যাচ্ছে
High Court police ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানের আগের রাতে হাওড়া স্টেশন থেকে ৪ জন স্বেচ্ছাসেবককে গ্রেফতারের ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে হাওড়া সিটি পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনার সম্মুখীন হতে হয়েছে। সোমবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ পুলিশি পদক্ষেপে গভীর বিস্ময় প্রকাশ করেন। বিচারপতি মন্তব্য করেন, “এইভাবে চললে পুলিশ যখন খুশি, যাকে খুশি গ্রেফতার করতে পারবে, এবং পরে নিজের ইচ্ছামতো থানা থেকে ছেড়ে দেবে!” এই ঘটনা পুলিশি ব্যবস্থার ওপর নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।
গত ২৬ অগাস্ট গভীর রাতে হাওড়া স্টেশন থেকে নবান্ন অভিযানের স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করা ৪ জন ছাত্র রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান। পরদিন, এক ছাত্রের বাবা ছেলের সন্ধান চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেন। তখন পুলিশ জানায় যে, ওই ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তবে সেদিনই তাদের থানা থেকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
High Court police পুলিশের এই পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন–
High Court police পুলিশের এই পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলে ওই ৪ ছাত্র আদালতের দ্বারস্থ হন। সেই মামলাতেই সোমবার বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ পুলিশের এই আচরণের কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি মন্তব্য করেন, “পুলিশ এভাবে আইন অনুযায়ী কাজ না করে নিজের ইচ্ছামতো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।” এই ঘটনা পুলিশের কার্যক্রমের স্বচ্ছতা নিয়ে নতুন করে আলোচনা তৈরি করেছে।
High Court police এভাবে চললে তো ছাত্র ,ছাত্রী দের পুলিশ যখন খুশি, যাকে খুশি গ্রেফতার করবে বলে জানা যাচ্ছে
এদিন আদালতে, সরকারি আইনজীবী জানান যে পুলিশের কাছে খবর ছিল অভিযুক্তরা নবান্ন অভিযানে গণ্ডগোল পাকাতে পারে। এই তথ্যের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে, এই যুক্তি আদালতের সামনে খুব একটা গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠেনি। বিচারপতি পুলিশের এই পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা এবং আইনসঙ্গততা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, যা বিচার বিভাগের পক্ষে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
একথা শোনার পর, বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “গ্রেফতার হওয়া ছাত্রদের বিরুদ্ধে পুলিশ খুনের চেষ্টার মতো গুরুতর ধারা প্রয়োগ করেছে। কার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এই পদক্ষেপ নিয়েছে? আর এমন গুরুতর অভিযোগের পরেও, থানা থেকেই অভিযুক্তদের জামিন দেওয়ার অধিকার পুলিশকে কে দিয়েছে?”
High Court police বিচারপতি আরও বলেন, “অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আগে কোনও অপরাধে যুক্ত থাকার অভিযোগ ছিল না। তাহলে কেন পুলিশ নিজের থেকেই এমন গুরুতর ধারা প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিল? যদি অভিযোগ যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্য না হয়, তাহলে কেন তাদের ২৪ ঘণ্টা আটকে রাখা হলো?”
High Court police এভাবে চললে তো ছাত্র ,ছাত্রী দের পুলিশ যখন খুশি, যাকে খুশি গ্রেফতার করবে বলে জানা যাচ্ছে
High Court police তিনি তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “এভাবে চললে তো পুলিশ যখন খুশি, যাকে খুশি গ্রেফতার করবে, আর পরে নিজের ইচ্ছেমতো থানা থেকেই জামিন দিয়ে দেবে।” এই বক্তব্যের মাধ্যমে বিচারপতি পুলিশি ব্যবস্থার স্বচ্ছতা এবং আইনের সঠিক প্রয়োগ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
Table of Contents
🔥 এগুলিও পড়ুন 👇👇
👉আন্দোলনের মাঝেই রোগী দেখবেন জুনিয়র চিকিৎসকরা, শহরজুড়ে অস্থায়ী ক্যাম্প
👉অরিজিতের প্রতি শ্রেয়ার প্রতিবাদী হলেও শ্রেয়ার প্রতিবাদী বিবৃতিকে ‘সাধুবাদ’! কুণাল-ঘোষণা
👉Kolkata Rape-Murder Case: IMA Gives 48-Hour Deadline, Warns of Nationwide Protests