October 24, 2024 by Saharuk khan
উচ্চ প্রাথমিক মামলা খারিজ করল চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ সুপ্রীম কোর্টের একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ এই মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন, যার মাধ্যমে কলকাতা হাই কোর্টের পূর্ববর্তী নির্দেশনাকে সমর্থন জানানো হয়েছে।
সুপ্রীম কোর্টের এই সিদ্ধান্তে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া–
সুপ্রীম কোর্টের এই সিদ্ধান্তে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে না এবং আগের মতোই পদগুলো পূরণের জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আদালতের এই সিদ্ধান্ত শিক্ষকদের মধ্যে আশার আলো দেখাচ্ছে, যারা দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগের অপেক্ষায় ছিলেন।
নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও ধরনের হস্তক্ষেপ না করার মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তারা বিষয়টি যথাযথভাবে বিবেচনা করছে এবং শিক্ষাক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সচেষ্ট। আশা করা হচ্ছে, দ্রুততম সময়ে এই শূন্যপদগুলো পূরণ করা হবে, যা শিক্ষাক্ষেত্রের উন্নয়নে সহায়ক হবে।
এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে পরবর্তী পদক্ষেপ এবং সময়সূচি শীঘ্রই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হবে।
সুপ্রীম কোর্টের একটি সাম্প্রতিক রায়ে উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজারের বেশি শূন্যপদে নিয়োগের প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলকাতা হাই কোর্টের আগের নির্দেশ, যা সংরক্ষণ নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করে শীর্ষ আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল, সে ক্ষেত্রে আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও বাধা নেই।
শুক্রবার, প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ অনুসারে ১৪ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ হবে। এর ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নতুন করে জট তৈরি হওয়ার আশঙ্কা কাটল।
গত ২৮ অগস্ট, কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের একটি ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিয়েছিল যে, নতুন করে মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। তাদের এই নির্দেশের পর ১৪,০৫২ পদে নিয়োগ শুরু হয়, যা প্রায় আট বছর পরে হয়েছে। তবে সুপ্রিম কোর্টে মামলার দায়ের হওয়ার কারণে এই প্রক্রিয়া থমকে যায়।
Upper Primary Recruitment Case এবার উচ্চ প্রাথমিক মামলা খারিজ করল চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ, হাই কোর্টের নির্দেশ মেনেই ১৪ হাজার পদে হবে নিয়োগ–
এখন সুপ্রিম কোর্টের রায়ের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া পুনরায় চালু হবে এবং চাকরিপ্রার্থীরা আশা করছেন দ্রুততার সঙ্গে তাদের নিয়োগপত্র হাতে পাবেন। এই সিদ্ধান্ত শিক্ষাক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তনের আশা জাগিয়েছে, যা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নেও সহায়ক হবে।
উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ার পক্ষে আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। হাই কোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে তিনি নিয়মিত উপস্থিত ছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, “সুপ্রিম কোর্টের মৌখিক পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ২০১৬ সাল থেকে একটানা একটি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বারবার হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। এর ফলে বাম এবং বিজেপির চক্রান্ত ভেস্তে গেল।”
উচ্চ প্রাথমিক মামলা খারিজ করল চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ–
উচ্চ প্রাথমিক মামলা খারিজ করল চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ ২০১৫ সাল থেকে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া বিভিন্ন কারণে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। হাই কোর্টের নির্দেশে বার বার ১৪ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ স্থগিত রাখা হয়েছিল। ২০২০ সালে উচ্চ আদালত নিয়োগ প্রক্রিয়াটি বাতিল করে দিয়েছিল। এরপর ২০২৩ সালে প্যানেল প্রকাশের অনুমতি দেওয়া হলেও, সেই সময় ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট করে জানিয়েছিল যে, প্যানেল প্রকাশ করা যাবে, তবে কাউকে নিয়োগের সুপারিশ করা যাবে না।
Upper Primary Recruitment Case এবার উচ্চ প্রাথমিক মামলা খারিজ করল চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ, হাই কোর্টের নির্দেশ মেনেই ১৪ হাজার পদে হবে নিয়োগ নিয়োগের বিষয়টি নতুন ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার পর ১৮ জুলাই বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শেষ হয় এবং ২৮ অগস্ট রায় ঘোষণা করা হয়। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যাঁরা এই মামলা পরিচালনা করেছেন, তাঁদের জন্য এটি একটি বড় জয়, যা উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষকদের নিয়োগ প্রক্রিয়াকে সুসংহত করবে এবং দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত বিষয়টি সমাধান করবে।
এসএসসি (স্কুল সার্ভিস কমিশন) এর উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ –
এসএসসি (স্কুল সার্ভিস কমিশন) এর উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছিল, বিশেষ করে কাউন্সেলিংয়ের সময় সংরক্ষণ নীতি অনুসরণ না করার বিষয়ে। তফসিলি জাতি এবং জনজাতিদের জন্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে একাধিক প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল। মামলাকারীদের আইনজীবী আদালতে দাবি করেছিলেন যে, মহিলাদের সংরক্ষণ নিয়েও কিছু ত্রুটি ছিল।
এছাড়াও, ওএমআর (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) শিটে গোলমালের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল। এই অভিযোগগুলোর ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দীর্ঘকালীন জট সৃষ্টি হয়েছিল, যা প্রায় আট বছর ধরে চলেছিল।
তবে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের রায়ের মাধ্যমে এই জট কাটানো সম্ভব হয়েছে, যা নিয়োগ প্রক্রিয়াকে নতুন দিগন্তে প্রবেশ করাবে। এটি নিশ্চিত করবে যে, পূর্বের অভিযোগগুলো সঠিকভাবে বিবেচিত হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের সমস্যা এড়াতে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। শিক্ষাক্ষেত্রে এই উন্নয়ন প্রক্রিয়াটি আশা জাগাচ্ছে, যা প্রার্থী এবং তাদের পরিবারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
Upper Primary Recruitment Case উচ্চ প্রাথমিক মামলা খারিজ করল চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ হাই কোর্টের নির্দেশ মেনেই ১৪ হাজার পদে হবে নিয়োগ
Table of Contents
🔥 এগুলিও পড়ুন 👇👇
👉West Bengal weather : কোথাও ৪০ কিমিতে ঝড়, কোথাও ১২০ কিমি- আজ থেকে বাংলার কোন জেলায় কত বেগে তাণ্ডব?
👉Air India flight বোমার হুমকির কারণে নিউইয়র্কগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট দিল্লির দিকে মোড় নেয়