Sep 24, 2024 by Saharuk khan
Post Mortemবডি চালান শীর্ষ আদালতের সাম্প্রতিক শুনানিতে প্রধান বিচারপতি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তোলেন, কীভাবে বডি চালান ছাড়াই ময়নাতদন্ত করা সম্ভব? এই প্রশ্ন উত্থাপন করার সময়, সিবিআই তাদের পক্ষে জানায় যে, তারা কোনও বডি চালান পাননি। আদালতের এই প্রশ্নের প্রেক্ষিতে তদন্তের প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। ময়নাতদন্তের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে বডি চালান অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি তদন্তের স্বচ্ছতা এবং নির্ভুলতা নিয়ে সন্দেহ তৈরি করেছে।
আর জি কর হাসপাতালের চিকিৎসা পড়ুয়া খুন ও ধর্ষণের ঘটনার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি–
আর জি কর হাসপাতালের চিকিৎসা পড়ুয়া খুন ও ধর্ষণের ঘটনার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিস্ময় প্রকাশ করেন, কারণ ওই ছাত্রীর দেহের ময়নাতদন্তের ‘বডি চালান’ পাওয়া যায়নি। এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর কলকাতা পুলিশের ওপর চাপ বৃদ্ধি পায়। পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে শহরের একাধিক মেডিক্যাল কলেজের ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগ থেকে লালবাজারে একটি চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে জানানো হয়, অস্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে ময়নাতদন্তের সঙ্গে ‘বডি চালান’ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
Post Mortemবডি চালান’ চেয়ে চিঠি দেওয়ার পরেও পুরনো নিয়মেই ময়নাতদন্ত হচ্ছে
তবে সেই চিঠি পাঠানোর পর বেশ কয়েক সপ্তাহ পার হলেও কলকাতা পুলিশের অধীনে থাকা এলাকাগুলোতে ময়নাতদন্তের সময় ‘বডি চালান’ না দিয়ে বরং ‘রিকুইজ়িশন ফর্ম’ জমা দিয়েই কাজ চালানো হচ্ছে।
Post Mortemবডি চালান শীর্ষ আদালতে অনুষ্ঠিত আর জি কর হাসপাতালের ঘটনা সংক্রান্ত শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বিস্ময় প্রকাশ করে প্রশ্ন তোলেন, কীভাবে ‘বডি চালান’ ছাড়াই ময়নাতদন্ত হতে পারে। ওই সময়ে সিবিআই-এর পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, তারা ময়নাতদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় কোনো ‘বডি চালান’ পায়নি। রাজ্যের পক্ষ থেকে বিশিষ্ট আইনজীবী কপিল সিব্বল তখন জানান, কলকাতা পুলিশের অধীনে বহুদিন ধরেই ‘বডি চালান’-এর পরিবর্তে ‘রিকুইজ়িশন ফর্ম’ জমা দিয়ে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়া দীর্ঘকাল ধরে চলে আসছে, যার কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
Post Mortemবডি চালান’ শুনানি শেষে এন আর এস–
শুনানি শেষে এন আর এস, আর জি কর-সহ কলকাতার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মেডিক্যাল কলেজের ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগ থেকে লালবাজার এবং সংশ্লিষ্ট থানাগুলিতে চিঠি পাঠানো হয়। সেই চিঠিতে ময়নাতদন্তের ক্ষেত্রে অন্যান্য নথির পাশাপাশি ‘বডি চালান’ জমা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে উল্লেখ করা হয়।
তবে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের সূত্রে জানা যাচ্ছে, চিঠি পাঠানোর পরেও সপ্তাহখানেকের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও ময়নাতদন্ত এখনো ‘রিকুইজ়িশন ফর্ম’ জমা দিয়েই চলছে। শহরের একটি মেডিক্যাল কলেজের ফরেন্সিক বিভাগের এক চিকিৎসক মন্তব্য করেন, “প্রত্যেক প্রক্রিয়ারই একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) থাকে।”
ময়নাতদন্তের ক্ষেত্রে ‘বডি চালান’ এসওপি-র একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে কলকাতা পুলিশ কেন এই চালান পাঠাচ্ছে না, তা শুধুমাত্র তারা নিজেদের ব্যাখ্যা দিতে পারবে। শহরের একটি মেডিক্যাল কলেজের ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক বলেন, “প্রত্যেক প্রক্রিয়ারই একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) থাকে। কিন্তু বডি চালান পাঠানো হচ্ছে না কেন, সেটা তাদেরই ব্যাখ্যা করা উচিত।”
রাজ্য পুলিশের ক্ষেত্রে ময়নাতদন্তের জন্য ‘বডি–
রাজ্য পুলিশের ক্ষেত্রে ময়নাতদন্তের জন্য ‘বডি চালান’ বা ফর্ম ৫৩৭১ ব্যবহার করা হয়, তবে কলকাতা পুলিশ ‘রিকুইজ়িশন ফর্ম’ ব্যবহার করে। এই দুটি ফর্মের মধ্যে মূল পার্থক্য হলো, রিকুইজ়িশন ফর্মে মৃতের নাম, বয়স, মৃত্যুর সময় ও কারণের বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ থাকে। এছাড়া, এতে ঘটনাস্থলের থানা এলাকার তথ্য এবং থানার তরফে কখন দেহটি পাঠানো হচ্ছে তা-ও উল্লেখ করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় তথ্য সুনির্দিষ্টভাবে প্রদান করা হলেও, ‘বডি চালান’ সাধারণত আরও বিস্তারিত তথ্য ও প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত থাকে।
কিন্তু রিকুইজ়িশন ফর্মে মৃতদেহে আঘাতের চিহ্ন, দেহের পোশাক, দেহের অবস্থান, এবং সঙ্গে পাওয়া অন্যান্য আইটেমের বিবরণ লেখা হয় না। এসব তথ্য ‘বডি চালান’-এ সঠিকভাবে উল্লেখ করতে হয়। আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসক-পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় এসব তথ্যের অভাবই কলকাতা পুলিশের সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল, যা সর্বোচ্চ আদালতের তোপের মুখে পড়ে।
Post Mortem লালবাজারের একটি সূত্র দাবি করেছে –
Post Mortemবডি চালান লালবাজারের একটি সূত্র দাবি করেছে যে, ১৯৯৭ সালের পর থেকে ‘বডি চালান’ ব্যবহারের প্রথা বন্ধ হয়ে গেছে। তার পরিবর্তে, ময়নাতদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগে ‘রিকুইজ়িশন ফর্ম’ পাঠানো হয়। এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, “এটি এমন নয় যে, হঠাৎ করে কয়েক মাস আগে ‘বডি চালান’ ব্যবহার বন্ধ হয়ে গেছে বা একটি নির্দিষ্ট ঘটনার জন্য এটি পাঠানো হয়নি। গত কয়েক বছর ধরে যেভাবে দেহ হাসপাতলে পাঠানো হচ্ছে, সেই নিয়মই অনুসরণ করা হচ্ছে।”
Table of Contents
🔥 এগুলিও পড়ুন 👇👇
👉মুখ্যমন্ত্রীকে ‘সামাজিকভাবে বয়কটে’র সিদ্ধান্ত রাজ্যপালের, পালটা জবাব দিলেন কুণাল
👉Bangladesh new Update ধারের বিদ্যুতে ঘর আলো বাংলাদেশে! ইউনুসকে আদানি বললেন, ‘এবার ঋণ মেটান’