Tab Scam in Bengal: এবার রাজ্যে পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা কীভাবে অন্য অ্যাকাউন্টে?শিক্ষাক্ষেত্রে একের পর এক ট্যাব কেলেঙ্কারির অভিযোগে উত্তাল রাজ্য। পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, মালদা, উত্তর ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম সহ একাধিক জেলার নাম উঠে আসছে এই অভিযোগে। এমনকি এই অভিযোগের ছোঁয়া কলকাতাতেও পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যজুড়ে তদন্তে নেমেছে কলকাতা পুলিশ এবং বেঙ্গল সিআইডি। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিটি জেলার নির্দিষ্ট এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে তারা। শিক্ষাক্ষেত্রে একের পর এক কেলেঙ্কারির অভিযোগে শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
Tab Scam in Bengal: এবার রাজ্যে পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা কীভাবে অন্য অ্যাকাউন্টে? ঠিক কী ঘটছে student দেড় সাথে ?
শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতির পর এবার একের পর এক ট্যাব কেলেঙ্কারি নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, মালদা, উত্তর ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বর্ধমান এবং ঝাড়গ্রামের মতো একাধিক জেলায় ট্যাব বিতরণে নানা অসঙ্গতির অভিযোগ উঠে আসছে। ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে এই তালিকা, যা এখন জেলার গণ্ডি পেরিয়ে কলকাতার দোরগোড়ায় পৌঁছেছে। এই অভিযোগগুলির প্রেক্ষিতে কলকাতা পুলিশ এবং বেঙ্গল সিআইডি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। এই ধরনের কেলেঙ্কারিতে শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি সাধারণ মানুষের বিশ্বাসে চিড় ধরছে, এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার দাবি জোরদার হচ্ছে।
কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন থানায় একের পর এক ট্যাব কেলেঙ্কারির অভিযোগ জমা
কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন থানায় একের পর এক ট্যাব কেলেঙ্কারির অভিযোগ জমা পড়ছে। পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি এবং কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে এবং অভিযুক্তদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের আওতায় একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য ট্যাব কেনার উদ্দেশ্যে এককালীন ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। এই অর্থ শিক্ষার্থীদের নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি জমা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলি একটি নির্দিষ্ট সরকারি পোর্টালে শিক্ষার্থীদের তথ্য এবং ব্যাঙ্ক বিবরণ আপলোড করে। তবে অভিযোগ উঠেছে, এই অর্থ বরাদ্দ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক দুর্নীতি ও তথ্য জালিয়াতি ঘটেছে। তদন্তকারীরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রকল্পে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন।
স্কুল কর্তৃপক্ষকে ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের জন্য শিক্ষার্থীদের তথ্য পোর্টালে আপলোড করতে নির্দিষ্ট ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করতে হয়। তবে তদন্তে দেখা গেছে, কিছু দক্ষ হ্যাকার টার্গেট করা স্কুলগুলোর ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড হ্যাক করে শিক্ষার্থীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পরিবর্তে নিজেদের অ্যাকাউন্ট প্রতিস্থাপন করে। এতে বরাদ্দকৃত অর্থ যোগ্য শিক্ষার্থীদের কাছে না গিয়ে অপরিচিত অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে। বুধবার রাত পর্যন্ত শুধুমাত্র কলকাতা পুলিশ অধীনে ছয়টি থানায় এই ট্যাব কেলেঙ্কারি নিয়ে অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে রাজ্যজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
Tab Scam in Bengal: এবার রাজ্যে পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা কীভাবে অন্য অ্যাকাউন্টে? ঠিক কী ঘটছে student দেড় সাথে ?
পুলিশের দাবি অনুযায়ী, যাদবপুর, কসবা, সরশুনা, বেনিয়াপুকুর, মানিকতলা, এবং ওয়াটগঞ্জ থানায় ট্যাব কেলেঙ্কারির প্রতিটি থানায় একটি করে মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এই ৬টি থানার আওতায় মোট ৬২ জন শিক্ষার্থী ট্যাব কেনার বরাদ্দকৃত টাকা পাননি। এর মধ্যে সরশুনা থানার দায়ের করা মামলায় সরিফুল ইসলাম এবং কৃষ্ণপদ বর্মণ নামের দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের আটক করে। ধৃতদের ইসলামপুর আদালতে পেশ করলে আদালত তাদের তিন দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিশের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও কয়েকজনের সন্ধান চলছে এবং তদন্ত এগোচ্ছে।
Table of Contents
🔥 এগুলিও পড়ুন 👇👇
👉ডিসেম্বর থেকে ঢুকবে না লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা, এবার এই সমস্ত লোকেদের জন্য খুব খারাপ খবর
👉RG Kar News: আর জি কর কাণ্ডের তদন্তের পর স্টেটাস রিপোর্ট পেশ সিবিআইয়ের হাতে